MigrationTrending News

আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি? How to Get US Visa

কিভাবে একজন ব্যক্তি কি ইউএসএ’র টুরিস্ট ভিসা পেতে পারেন এবং আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি কি সে বিষয়ে আজকেরে আর্টিকেলে উপযুক্ত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

কারা ইউ এস ভিসা পাওয়ার যোগ্য?

আপনার কাছে প্রশ্ন থাকতে পারে যে কারা ইউএসবি আমেরিকান ভিসা পাওয়ার যোগ্য।  কিন্তু মুহূর্তে প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব নয় কারণ কোন ওয়েবসাইট বা কোন ডকুমেন্টারিতে অথবা কোন এম্বাসির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি যে আমেরিকা যেতে হলে আপনার কি কি যোগ্যতা লাগবে।

তবে আপনাকে আমি কিছু পরামর্শ এবং সাজেশন দিব।  যার মাধ্যমে আপনি আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা এবং সক্ষমতা অনেকটাই অর্জন করতে পারবেন।

প্রথমে আমি বলব আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ইংলিশ বলার ধরন এবং নির্দিষ্ট কোনো কাজের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে যদি আপনি মনে করেন যে আপনি পারফেক্ট তাহলে এবং আপনার প্রোফাইলটা যদি খুবই স্ট্রং থাকে তাহলে আপনি সহজেই আমেরিকা যেতে পারবেন।  শুধুমাত্র কিছু প্রসেসিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

তবে এক্ষেত্রে আপনার ইনকাম প্রোফাইল টা কিন্তু একটু ভালো থাকতে হবে অর্থাৎ আপনার মোটামুটি ইনকাম থাকতে হবে এবং কয়েকটা দেশে আপনার টুরিস্ট হিসেবে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বিশেষ করে ইউরোপ কান্ট্রির গুলোর ভিতর বাজে দেশের মানুষদের ভাষা ইংলিশ,  সেসকল ইংলিশ ভাসি দেশগুলোতে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা যদি থাকে তাহলে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আমেরিকা যেতে পারবেন।

আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকান ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে আমি আপনাকে কয়েকটা কিছু উদাহরণ দিব। যার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে আপনার মূলত এম্বি কাছে যাওয়ার জন্য বর্তমানে যোগ্যতা অর্জিত হয়েছে কিনা।

 বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ  আমি যেগুলো বলবো সেগুলো কোনো অফিস থেকে না বরং আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আপনাকে বলছি যে গুলো ফলে আপনার আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা টা খুব পরিমাণে বেড়ে যাবে।

আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার কৌশল

 সুতরাং আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে আপনাকে যে সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তা হলঃ

  1.  আপনার মাসে ইনকাম মিনিমাম 2 লক্ষ টাকা বার তার চাইতে অধিক পরিমাণে হতে হবে।
  2.  মিনিমাম তিন থেকে চারটা ইংলিশ ভাষী দেশে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।  যেমন অস্ট্রেলিয়া কানাডা ইউরোপ কান্ট্রির যে কোন দেশে।
  3.  আপনার ফেমিলি সহকারে মিনিমাম অন্তত একবার ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অর্থাৎ ছেলে-মেয়ে নিয়ে দেশের যেকোনো কান্ট্রিতে ভ্রমণ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

 সুতরাং আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা বা আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে আপনাকে আমি একটা কথা বলবো আপনার বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যত বেশি থাকবে ইউএসএ ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার যোগ্যতার সম্ভবনা তত বেশি বেড়ে যাবে।

স্টুডেন্টদের জন্য আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

মূলত ভিন্নভাবে বা অতিরিক্ত কোনটাই সুন্দরের জন্য আলাদাভাবে আমেরিকা টুরিস্ট ভিসা পাবার কেমন কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই বরং সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যেভাবে আপনার ভিসা পাওয়া হয় আমেরিকা যাওয়ার জন্য।  আপনাকেও ঠিক সেরকম ভাবে টুরিস্ট ভিসা পেতে হবে।

 কিন্তু আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং আপনার বয়স যদি পারেন সর্বনিম্ন 22 বছর থেকে নিয়ে তার উপরে হয়ে থাকে এবং আপনার কয়েকটা দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে আপনি প্রতিবছরই যে কোন দেশে ভ্রমণ করতে যান।  এবং আপনার একটি extra-ordinary প্রোফাইল থাকে অডিনারি প্রোফাইল বলতে আমি বুঝাচ্ছি ধরেন আপনি ইউটিউবে আছেন এবং ব্লগ তৈরীর জন্য আপনি কোথাও না কোথাও কোন দেশে ভ্রমণ করছেন এই বিষয়টাই যে আপনি ইউটিউব আপনার ভ্রমন করার জন্য প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও যেতে হচ্ছে।

 যেকোনো বিজনেসের জন্য প্রোডাক্টের জন্য বা যেকোন ক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে বা আপনি কোনো গবেষণার জন্য অর্থাৎ যেকোন স্থানে যাবেন যাওয়ার পরে সেখানে প্রোফাইল তৈরি করা তারপর হলো ব্লক তৈরি করা এই সমস্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি খুব সহজেই আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং আপনার ভিসা একসেপ্ট হওয়ার রেশিও বা সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এখন যদি আপনি অপরিণত বয়সে হয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনার বয়স যদি 22 বছর থেকে নিয়ে 24 25 বছর বা তারও পরে না হয় তাহলে আপনি যেটা করবেন, তা হচ্ছে: সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। আপনি বিয়েশাদী করে আপনার সংসার, সন্তান-সন্তানাদি নিয়ে প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এবং কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করেন।

 ভ্রমণ করে নিজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। বিশেষ করে ইউরোপ কান্ট্রি গুলোতে ভ্রমণ করে দেখতে পারেন। সেখানে টুরিস্ট ভিসার মাধ্যমে এপ্লাই করতে করতে একটা সময় আপনি আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবেন।

এছাড়া আপনি বিশেষ কিছু অডিনারি অর্জন করতে পারেন অডিনারি যেমন বলতে পারেন কোন সেলিব্রেশন হওয়া অথবা কোন একটি নির্ধারিত ধাকাধক ব্লক করা ইউটিউব চ্যানেল সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাক্টিভিটি খুব ভালো থাকা অথবা আপনি বিভিন্ন দেশে ঘুরতে পারেন ধরেন তিনি চল্লিশটা দেশ ঘুরে থাকলেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার একটা এক্সট্রাঅরডিনারি তৈরি হয়ে যাবে।

যেকোনো বয়সে আমেরিকান ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা কি? HOW TO GET U.S. VISA

আপনার যদি ভাল কোন কারণ বা রিজন থাকে, আপনি আমেরিকা যে কারণ দেখিয়ে আমেরিকা যেতে চাচ্ছেন। তাহলে কিন্তু আপনার ভিসা পাওয়ার রেশিও টা খুব বেশী পরিমাণে বেড়ে যায়।

যেমন ধরেন আপনার বয়সটা প্রায় 40 50/60 এর মত করে হবে এবং আপনার কোন মেয়ে বা ছেলে আমেরিকাতে জব করছে এবং সেখানে স্যাটেল অবস্থায় আছে অথবা আপনার কোন আত্মীয় অথবা একাধিক ফ্যামিলি আপনার সেখানে সেটেল অবস্থায় আছে আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যাচ্ছেন অথবা তাদের সঙ্গে কিছু দিন বেড়াতে যাচ্ছেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার টুরিস্ট ভিসা পাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে কারণ আপনার কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে।

আমেরিকার ইমিগ্রেশন ভিসা

ধরেন আপনার কোনো মেয়ে বা ছেলে আমেরিকাতে থাকে এবং সেখানে ধরেন একজন আপনার মেয়ে আছে সে প্রেগনেন্সিতে আছে অথবা গর্ভবতী অবস্থায় আছে এখন আপনি তার পাশে থাকতে চাচ্ছেন এটা একটা ভালো একটা কারণ আপনি কিন্তু কারণ দেখিয়ে আমেরিকাতে খুব সহজে যেতে পারবেন।  এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কিছু কারণ আছে  যেগুলোকে আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।

এমন একটি কথা বলে রাখা ভাল যে এরকম যদি আপনার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে। তাহলে আপনার ট্রাভেল এক্সপেরিয়েন্স এর অভিজ্ঞতা অথবা আপনার ইনকাম কত টাকা সেটা কোন ম্যাটার করে না। বরং আপনার যে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে যেঃ আপনি আপনার ফ্যামিলির কাছে যেতে যাচ্ছে আমি তো আপনার সন্তান সন্তানাদির কাছে যেতে চাচ্ছেন আপনার মেয়ের প্রেগনেন্সি অবস্থায় তার পাশে আপনি থাকতে চাচ্ছেন এই অবস্থা গুলো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কারণ এবং যুক্তিযুক্ত কারণ সে কারণে আপনি সহজেই আমেরিকার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনায় থাকবেন।

আমেরিকান কনফারেন্সিং ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আপনি যদি আমেরিকাতে কনফারেন্সিং ভিসা আবেদন করতে চান।  তাহলে আপনার ব্যাপারে একটু ভিন্ন সিস্টেম রয়েছে যেমন আগে থেকেই আপনি কখনো কনফারেন্সের ভিসা এমেরিকাতে গিয়েছেন কিনা বা অন্য কোনো দেশে গিয়েছিলেন কিনা? 

ধরুন আপনি কোন একটা ইউনিভার্সিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট অথবা এসোসিয়েট  প্রফেসর। আপনার ইন্ডিয়া থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া সবধরেন বিভিন্ন রকমের দেশে কনফারেন্সিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আপনি সে কোন দেশের পেপার রেডি করেছেন, অথবা আপনি কোন মেডিকেলে ডক্টর হতে পারেন। সো ধরেন আপনি এখন ইউনাইটেড স্টেটের একটি কনফারেন্সে অংশ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তাহলে বলতে পারেন যে আপনার একটি যুক্তিযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে সুতরাং আপনার আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং সেখানে একসেপ্ট হবার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। 

তো সে ক্ষেত্রে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে অনেকেই কনফারেন্সের অংশগ্রহণ করার জন্য এমন এক সময়ে গিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করেন যখন ভিসা প্রসেসিং হতে হতে আপনার কনফারেন্সের ডেট ওভার হয়ে যাবে বা শেষ হয়ে যাবে। তখন হয়তোবা অনেক অফিসাররা আপনার ভাষাটাকে রিফিউজ করে দিবে বা রিজেক্ট করে দিবে। 

সুতরাং আপনি কনফারেন্স ইন এ এটেন্ড বাংস গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই যথোপযুক্ত পর্যাপ্ত সময় নিয়েই ভিসার জন্য আবেদন করবেন। তাহলে আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন, আশা করি।

আমেরিকান কনফারেন্সের ভিসা পাওয়ার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আপনি আমেরিকাতে যেকোনো কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে চান না কেন আপনার কনফারেন্স টি অবশ্যই ব্যাকগ্রাউন্ড রিলেটেড হতে হবে। আপনি হচ্ছেন কেমিক্যাল ব্যবসায়ী আপনি চাচ্ছেন হলো একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে তাহলে কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড আপনার একটা থাবড়া বাবা মিলল না সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ভিসা রিফিউজ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সুতরাং আপনি যখন কোন কনফারেন্স ইন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন খেয়াল রাখবেন যাতে করে ভিতরে উল্লেখ থাকে যে আপনি যে ব্যাকগ্রাউন্ডের কনফারেন্সে যাচ্ছেন সেটা আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিল হয়।  তাহলে আপনার বিষয়টা খুব বেড়ে যায়।

পড়তে পারেনঃ অস্ট্রেলিয়া যাবার সহজ উপায়

এবং কনফারেন্স এর মধ্যে অবশ্যই আপনি যাতে করে চেনা জানা এবং পপুলার কিছু কনফারেন্স বিশেষ কোনো ব্র্যান্ডেড কোম্পানির কনফারেন্সে যদি হয় তাহলে কিন্তু আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়। এবং সে ক্ষেত্রে যদি এরকম হয়ঃ  যে আপনি আরো অন্যান্য কয়েকটা দেশের জাতীয় বাজেট কনফারেন্স অংশগ্রহণ করেছে আমেরিকা তো আপনার এই কনফারেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাহলে কিন্তু আপনি যুক্তিযুক্ত কারণ দেখিয়ে আমেরিকার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ইউএসএ বিজনেস ভিসার জন্য আবেদন

ধরেন, আপনার একটি বিজনেস রয়েছে যেটা নাকি ইউএসএ’র সাথে সম্পৃক্ত। এবং ইউএসএ পার্টনারশিপে বা যে কোন ভাবেই ইউএস বা আমেরিকার কোম্পানির সাথে জড়িত। অথবা আপনার নিজস্ব কোম্পানির আমেরিকাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে। সে ক্ষেত্রে খুব সহজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং আপনি পেয়ে যাবেন। 

পরিশেষে,

সবশেষে আমি একটি কথা বলবো। যেটা প্রথমে আমি যেরকমটা বলেছিলাম, আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা জন্য তেমন কোনো চেকলিস্ট উল্লেখ করা নাই।  যে কেউ চাইলে  যেকোনো কারণ দেখিয়ে আমেরিকাতে ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে।  তবে আপনাকে আমি উপরের যে টিপস গুলো দিলাম এগুলো ফলো করলে হয়তো আপনার ভিসা একসেপ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker